ইংল্যান্ডে দেখেছি, কেউ কোরবানির গরু চোখেও দেখে না- সরাসরি স্লটার হাউজে পেমেন্ট হয়, গোশত প্রসেস হয়ে বাসায় প্যাকেট পৌঁছে যায়। আরব দেশগুলোতেও নেই সেই উৎসবের চেনা হাঁকডাক। পশুর রক্ত, জবাই চোখেই দেখা যায় না। টার্কি কিংবা ইরান তো অনেক আগেই মুসলিম সংস্কৃতির অনেক রং মুছে ফেলেছে।
রাস্তায় রক্ত, খালের লাল পানি, গোশতের ভাগাভাগি, পলিথিন চুইয়ে পরা রক্তে ছেলেটার পায়জামা মাখামাখি-- সব মিলিয়ে কিছুটা অগোছালো লাগতে পারে, কিন্তু এটাই আমাদের ঈদ। এটাই আমাদের প্রাচীন আবেগ।ভালোবাসার ঈদ।
এই ঈদ আমাদের মুসলিম পরিচয়ের জীবন্ত বহিঃপ্রকাশ। সত্যিকারের উৎসব বললে, সেটাই এই ঈদ।
খাঁটি, মাটির গন্ধযুক্ত অগোছালো ঈদের যে আবেগ; শত ব্যর্থতার মাঝেও এই আবেগগুলো আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। পরিবার, সমাজের প্রতিটা মানুষকে এক করে ফেলে এই ঈদটা এক নিমিষেই।
আমি সবসময় দুয়া করি আমাদের এই ঈদটা যুগের পর যুগ এমনই থাকুক। সবকিছু ডিজিটাল হয়ে হলেও, অন্তত এই উৎসবটা এনালগ থাকুক। অনেক কিছুতেই তো আমরা পিছিয়ে আছি, এটাতেও একটু পিছিয়ে থাকি। কি এসে যায়?
0 মন্তব্যসমূহ