শনিবার, ৪ মে, ২০১৯

ঘুর্ণিঝড় ফণী ও আমরা



বিজ্ঞান আমাদের বলে দিতে পারে কেন প্রাকৃতিক দূর্যোগ সৃষ্টি হয়। বলে দিতে পারে এর উৎপত্তি কোথায়, কোথা থেকে কোথায় ঠিক কত বেগে আঘাত হানবে। আচ্ছা, এই জানাটাই কি সব? যদি সব হয় তাহলে একটা ভূমিকম্প কেন ঠেকিয়ে দিতে পারে না মানুষ তার সর্বশক্তি দিয়ে? কিংবা একটা ঘূর্ণিঝড়?দাবানল?
এই সেদিনও এমেরিকা বন্যা আর দাবানলে নাকানিচুবানি খেলো। তথাকথিত সভ্যতার শিকড় নিয়ে কামড়াকামড়ি করা একটা জাতির কেন এই দুর্দশা?
তবু মানুষ নাম দেয়-- "দুর্যোগ মোকাবিলা অধিদপ্তর" টেলিভিশন তার হেডলাইনে গর্ব করে--"ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ"।
মানুষ ঠিক কতটা অসহায় তা সে জীবনের অধিকাংশ সময়েই বুঝতে পারে না, বুঝতে পারে না কারণ আমাদের রব-- আর রহমান। তিনি আমাদের তার দয়ার চাদরে ঢেকে রাখেন। আমাদের চারপাশটায় যেদিকেই তাকাই সেদিকেই মৃত্যুর উপকরণ। তবু বুঝি না এই ভয়ংকর পৃথিবীটাতে বেঁচে থাকাটাই বিস্ময়কর, মৃত্যু টা অতি স্বাভাবিক, অতি সাধারণ।
আদ-সামুদের মত জমিন উলটে কিংবা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে আল্লাহ তায়ালার এক পলক সেকেন্ড সময় লাগে না। কিন্তু তিনি এমনটা করেননি এখনও আমাদের সাথে। আরও একটা বার সুযোগ দেন, দিচ্ছেন। তওবা করে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন আর পেট ভরা খাবারের যোগানও দিয়ে চলছেন। আমরা সেসব ভরপেট গিলি। গিলে তার নাফরমানি করি। তাঁকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে তার আজাব নিয়ে হাসি তামাশা করি। মজা নিই!
যত জাতির উপর আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা আজাব দিয়ে শেষ করেছেন তাদের প্রত্যেকের মধ্যে কমন বৈশিষ্ট্য ছিল যে তারা প্রাকৃতিক দূর্যোগ নিয়ে হাসি-মশকরা করত।
বাংগাল জাতটার হাজার বছরের ঐতিহ্য নিয়ে একটা ফ্যাসিনেশন আছে। তাই সেই ধারা বজায় রাখতেই হয়তো এবারও ফণি নিয়ে বাংগালী জাতি অতি দক্ষতার সাথে এই হাজার বছরের হাসি-তামাশা-ট্রল এর ট্রেন্ড ধরে রেখেছে।
ফণি নিয়ে যে পরিমাণ ট্রল আর রোহিংগাদের উড়িয়ে নিয়ে যাবার দুয়া এদের করতে দেখলাম তাতে আল্লাহ তায়ালার দয়ার পরিমাণ ঠিক কতটা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ। এরকম অসুস্থ, বর্বর, স্বার্থপর মানুষে দিন দিন দেশটা ভরে যাচ্ছে। মনটা দিন দিন বিষিয়ে উঠছে এই অসহ্য জাতি বিদ্বেষ দেখে।
ফণি থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রক্ষা করেছেন, রেহাই দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। বাবারা লাইনে থাকিস...সময় এখনও পক্ষে আছে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন