বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮

হিংসে হয়?





আজকালকার বাঙালিদের একটা বড় অংশ তাদের ব্যক্তিগত জীবনে চরম পর্যায়ের বিষাদগ্রস্থ। এদের না আছে ভালো কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না আছে ভালো কোনো চাকরি, না আছে সুন্দরী বউ, না নিজের বাড়ি-গাড়ি, ধর্ম-নৈতিক শিক্ষা এসব থেকে হাত ধুয়ে বহুদূরে তো চলে গেছে বহুকাল আগেই। যে শিক্ষাটা আছে এদের তা হলো-- "I am gpa 5" কিংবা "H2O অর্থাৎ ধানমন্ডির রেস্টুরেন্ট" প্রজাতির। এদের হাতে টাকা নাই, ঘরে সুন্দরী বউ নাই, কাজ করার চাকরি নাই, ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নাই, নাই স্বপ্ন , নাই নতুন কিছু করার ক্ষমতা, ইচ্ছা কিংবা যোগ্যতা।

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

উৎসবের পর



উৎসব শেষের নিস্তব্ধতাকে আমি প্রচন্ড ভয় পাই। এই সময়টা যে কী অদ্ভুত হাহাকার জাগানিয়া সেটা আমি প্রথম বুঝতে পারি এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে।

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮

নির্মম রাতকথা




জুলাই-আগস্টের এই সময়টা আমার কাছে বছরের সবচেয়ে বিশ্রী সময় মনে হয়। গুমোট একটা আবহাওয়া চারদিকে। নিশ্বাসে গরম-বিচ্ছিরি একটা অনুভূতি। এই বাতাসহীন শহরে এমনিতেই ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আমরা মনকে প্রবোধ দিই; কিন্তু এই আগস্টে এসব মিথ্যে প্রবোধেও কাজ হয় না। অসহায়ের মত ঘটঘট করে ঘুরতে থাকা ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে মনটা

সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

এলোমেলো ভাবনা




হঠাৎ হঠাৎ দিনগুলো কেমন অসহ্য রকমের বিরক্তিকর হয়ে যায়।  এই যেমন আজকে। এই বিরক্তির দিনগুলোর নিয়ম হচ্ছে কোন কাজই ঠিক ঠাক মত হবে না। দুই যোগ দুই চার মেলাতে ক্যালকুলেটর টিপেও ভুল করে পাঁচ লিখে ফেলা হবে। উনত্রিশে পা দেয়া ঝরঝরে শরীরটাও কাজে সায় দেবে না। কাজের চাপ আর দুপুরের ক্ষুধার আধিক্যে মেজাজ তিরিক্ষি হতে হতে পাড়ি দেবে অনন্ত-নক্ষত্র-বিথী। কাছের মানুষগুলোর সাথে

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮

উইথ গ্রেইট পাওয়ার, কামস গ্রেইট রেসপোনসেবিলিটি!





কোনো ঘটনা শোনা বা পড়ার সাথে সাথে সেটা ভিজুয়ালাইজ করতে পারার ক্ষমতা আমার বাড়াবাড়ি পর্যায়ের। চোখের
সামনে দৃশ্যগুলো টপাটপ কল্পনা করতে থাকি। অনেকটা থ্রিলার মুভির মত। সাঁই সাঁই...

সেদিন যখন জনৈকা ছাত্রনেত্রী অন্য এক ছাত্রীর পায়ের রগটা কচ করে ক্ষুর দিয়ে কেটে দিলেন তখন আমি গভীর
মনোযোগে দৃশ্য টা কল্পনা করার চেষ্টা করলাম-- আচ্ছা, কাটার সময় মেয়েটার মুখভঙ্গিটা কেমন ছিল? ব্লেড কিংবা
ক্ষুর দিয়ে মাখন কাটার মতো মাংস পোঁচ দিয়ে দুভাগ করার সময় ঠিক কতটা

শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮

মধ্যবিত্ত মিথ্যেরা



"হ্যাল্লোওও... এত্ত জ্যাম, সব স্ট্যাক হয়ে আছে। নড়তে পারছি না একটা ফোটা। তুমি টেনশন করো না তো, আমি আসতেসি"।
পাঠাও ড্রাইভার তার হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রীকে আশ্বাস দিচ্ছেন। মিথ্যা আশ্বাস। এই রাত ১২.৩০ এ তিনি বাইক রাইড দিতে বের হয়েছেন জানলে তার স্ত্রী ক্ষেপে যাবেন।
এই মেয়েটাই হয়তো কোনো একদিন তুমুল ঝগড়ার ফাঁকে তার স্বামীর দিকে আঙ্গুল

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না


দুপুরে আচমকা আব্বার ভিডিও কল। খানিকটা হকচকিয়ে গেলাম। অফিস টাইমে ভিডিও কল দিয়ে আব্বা আমাকে কি বুঝাতে চান? ভয়ে ভয়ে কল রিসিভ করতেই দেখা গেল ওপাশে আমার ১ বছর ৭ মাস বয়সী কন্যা উৎসুক চোখে স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমাকে দেখা মাত্রই তার স্বভাবসুলভ গালে টোল ফেলে হাতের মুঠো খোলা-বন্ধ করতে করতে ডাকতে লাগলো-- "আব্বু আতো, আব্বু আতো।

সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

রিজক



একটা ওয়ার্কশপে সেই ভেন্যুরই ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে চা অর্ডার করলাম। ৩৮ জন মানুষের দু কাপ করে ৭৬ কাপ চা। ভেন্যুর পোলাপান এসে চা পরিবেশন করে দিয়ে গেলো। ব্যবহারও মাশাল্লাহ ভালো। অমায়িক।
মনে মনে নিয়ত করে ফেললাম যাবার সময় বিলের সাথে এদের দুশ টাকা বখশিশ দিয়ে যাব,

বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮

তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে...




সবকিছুর একটা শেষ আছে। জন্মের, প্রাণের, যন্ত্রণার, কষ্ট-দু:খ কিংবা সম্পর্কের। কিছু সমাপ্তি খণ্ডিত; ভাঙাচোরা সাময়িক। আবার কিছু চিরকালীন।
শেষটা যে যত ভালোভাবে মেনে নিতে পারে। সে ততটা সুখী। কষ্টের সময়গুলোর একটা পর্যায় থাকে। প্রথমটা অতি ধারালো, তীক্ষ্ণ; বুকটাকে ফালাফালা করে ফেলবার জন্য যথেষ্ঠ। এরপর সময়ের ব্যবধানে এই তীক্ষ্ণ কষ্টের ফলাটাই ভোঁতা হয়ে মুড়ি-মুড়কি হয়ে যায়। ক্রম:শ....ক্রমশ....

বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮

ধর্ষিতার পোশাক



খোসা ছাড়া আমের উপর মাছির বসে থাকা দেখিয়ে একজন ফেইসবুকার প্রমাণ করে দেখালেন— “ ধর্ষণের জন্য পোশাকই দায়ী।" ওপাশ থেকে নিশ্চিত উত্তরের অপেক্ষায় থাকুন—তাহলে দু বছরের শিশুটার কি দোষ ছিল? এধরণের আলোচনাগুলো আসলে ডিম আগে না মুরগী আগে টাইপের। অবান্তর। এইসময়ে নেভার এন্ডিং এসব বিতর্ক করাটা দেশ ও জাতীর সময় নষ্ট ব্যতিত আর লাভজনক কিছুই

রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সস্তার রক্ত


ফেসবুকে বিকৃত মৃতদেহ দেখলে একটা সময় ভীত হতাম। কেমন যেন একটু দুর্বল হয়ে পড়তাম। চোখের কোণটা চিকচিক করে উঠতো কখনো-সখনো। এখন অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছি। ভোঁতা অনুভূতিগুলো ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ দেখে এখন আর তেমন একটা ব্যথিত হয় না। কৃত্রিম গ্লানিবোধ থেকে নিজেকে অনেকটাই মুক্ত করে নিয়েছি।

বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৮

মন খারাপের মন ভালো


রাতগুলো কেবল চুপচাপ নিরিবিলির অন্ধকারেরই নয়। কিছু কিছু রাত অপ্রাপ্তির নির্নিমেষ হিসেব নিকেষ আর চিন্তার ফড়িংটার ডানা ঝাপটানো দুর্দান্ত খেলা নিয়েও ব্যস্ত থাকে।
শীত শীত রাতগুলোতে ওপাশের পাতা পোড়ানো মন খারাপ করা গন্ধটা কীভাবে কীভাবে যেন একটা টানেলের ভেতর দিয়ে প্রতিটাদিন ছুটিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। অস্থির যন্ত্রণায় হাতড়াই। আজ যাওয়া যাবে না। একটা ইঞ্চিও না। কিছুতেই না। তবু যেতে হয়। স্মৃতিতে। স্মৃতি মানেই মনখারাপ করা কিছু ন্যাকা ন্যাকা
বাক্যালাপ।
আজকের ভালো লাগা মূহুর্তটা আগামীতে যখন গত হবে, দুম করেই তখন তা শুকনো পাতার বনে আগুন লাগার মত করে মনটাকে খারাপ করে দেবে। আবার আজকের খারাপ লাগা মুহূর্তটা যখন পুরাতন হবে? নিজের বোকামীর খিস্তি আউড়ে নিজেকেই নিজের কাছে ছোট করে তুলতে বাধ্য করবে এই বিচ্ছিরি স্মৃতি স্মৃতি খেলাটা।
'ভালো স্মৃতি' বলতে বস্তুত পৃথিবীতে কিছুই নেই। পুরোটাই বাটপারি। প্রতারক মনকে বুঝ দিয়ে কোনোভাবে বেঁচেবুঁচে টিকে থাকা-- এই ত সালা ভালো আছি....