বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

এই ধ্রুব এই....


সুনয়না,
তুমি কী জানো রাত বাড়ার সাথে সাথে ধ্রুবতারাটাকে একা রেখে বাকি সব তারারা যে পৃথিবীর আকাশ থেকে সরে যায়? এই তারাটা ঠিক ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসে থাকা নিরীহ বোকা ছেলেটার মতো-- হাজার জ্বালাতনেও ছলছল চোখে জগতের নিষ্ঠুরতাগুলোকে যে গিলে নিত নীরবে, নিভৃতে।

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কুরবানি-মেহেরবানি





আদম(আ.) এর সময়ে কুরবানি কবুল হলে আকাশ থেকে আগুন এসে তা জ্বালিয়ে দিতো। কুরবানি করার সাথে সাথেই তাই রেজাল্ট হাজির-- কার কুরবানি কবুল হলো আর কার হয়নি ফলাফল হাতেনাতে।

এখন কুরবানি হয় লাখে-হাজারে। আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা আমাদের দয়া করে গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তা না হলে এই অসততার বাজারে মানুষের কাছে ধরা খেয়ে যাবার ভয়ে কুরবানি দিতো ক জনে?

এখন কুরবানি হয় একে অপরকে বড় গরুর ঠাঁট দেখাতে; ফলাফল টা যদি হাতেনাতে সে সময়ের মতো পাওয়া যেত তাহলে নিজের ভন্ডামি আর অসততা প্রকাশ হয়ে পড়ার ভয়ে কুরবানি হত অতি সামান্যই।

সপ্ত আসমানেরও উপরে যিনি আছেন, তিনি কিন্তু ঠিক ই জানেন আপনার কুরবানির গরুটা কিভাবে কেনা, কি টাকায় কেনা। জেনেও সুযোগ দিচ্ছেন বারবার। হাপুশ হুপুশ গোশত খেতে দিচ্ছেন বিনা বাঁধায়।

মানুষকে ভয় করার চাইতে আল্লাহকে ভয় যদি আমরা করতাম, হয়তো দু কূল রক্ষাই হত। ধরা কিন্তু খেতেই হবে, হয় এখন নাহয় তখন। নগদ কিংবা বাকি।

মাটির নিচে ধরার খাবার চাইতে উপরে ধরা খাওয়াটা অনেক অনেক গূণে উত্তম। যদি আমরা তা বুঝি....