মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

ভেজা কাকের চিঠি

সুনয়না,

আরে কী হলো? হাসছো কেন?ধুর! হাসি থামাও তো।

জানি বরাবরের মতোই ধরে ফেলেছো এই ঘন বরষা দেখামাত্রই তড়িঘড়ি তোমাকে লিখতে বসে গেছি।
সবসময়ের মতোই হয়তো এটাও বলে বসেছো এতক্ষণে- "উফ, তুমি খুবই প্রেডিক্টেবল''। ইদানিং এই
প্রেডিক্টেবিলিটির ঘেরাটোপে পড়ে নিজেকেই নিজের প্রায়ঃশই অসহ্য লাগে।

করোনার আতঙ্কে অনলাইনে বাসার জন্য সকালে বেশ কিছু অর্ডার করেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি
দু বস্তা হাতে ডেলিভারির ছেলেটা বৃষ্টির মধ্যে জুবুথুবু দাঁড়িয়ে আছে। আমার মনটা প্রচন্ড খারাপ হয়ে গেলো।
সেই সাথে একটা অদ্ভুত লাইন মাথায় ভাজতে থাকলো-"ভেজা কাক হয়ে থাক আমার মন"।

আচ্ছা বলো তো- মন আবার ভেজা কাক হয়ে থাকে কীভাবে? আমি তো আবার কবিতা-টবিতা ঠিকঠাক
বুঝি না। এটা আবার তোমার সাবজেক্ট। বুঝিয়ে দিও তো সময় হলে।

শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০

বিজ্ঞান একা লড়েছিল...


গ্রামের সেই শঠ পন্ডিতটার কথা মনে আছে? যিনি অন্য পন্ডিতের সাথে বিতর্কে গিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলো- “I dont know ” এর বাংলা কী? 

ইদানিংকালের অতি সুশীল-নাস্তিকদের প্রশ্ন করার ঢং অনেকটা এরকমই। তারা এমন সব প্রশ্ন আর আবেগী আর্গুমেন্ট তৈরি করবে যেসব প্রশ্নেরই আসলে কোন ভ্যালিডিটি নেই।   

একটা উদাহরণ দিই- ধরা যাক আবু ফুলান সাহেব একটা ছবি আঁকলেন। কালজয়ী চিত্র কর্ম। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ছবিটি কে এঁকেছে আমরা সবাই এক বাক্যে গলা ফাটাবো- আবু ফুলান, আবু ফুলান। এরপর যদি প্রশ্ন করা হয় আবু ফুলানকে কে এঁকেছে? তাহলে প্রশ্নটা কি কোনভাবেই যৌক্তিক হবে? ছবির স্রষ্টার ক্ষেত্রে- 'আঁকা' ক্রিয়াটিই প্রযোজ্য নয়। এরকম ইনভ্যালিড জাতের প্রশ্ন করতে হরহামেশাই এনাদের করতে দেখা যায়।  ইদানিং একটা কথা খুব চাউর হচ্ছে-