বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

সেকালের ঢাকায় রমজান


শবে বরাত আসলেই মুসলমানেরা রমজানের আগমন সংবাদ পেয়ে যেত। রমজানের চাঁদ দেখার জন্য আজকের মতো কোনো কমিটি ছিল না। ঢাকার লোকেরা নওয়াব বাড়ির ঘোষণা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতো।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২





প্রতিটা পুরুষ মানুষের জীবনে একটা গোপন দু:খ থাকে। আমার জীবনে এমন দু:খ নেমে এসেছিলো কোন এক শুক্রবার দুপুরে। আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। নেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করায় আম্মা হাসি হাসি মুখে বললেন টিকা খাওয়াবে। হলুদ এক প্রকার ক্যাপসুল ভিটামিন খাওয়ানো হত সে সময়। আমরা ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সে ক্যাপসুল গিলতাম। আমি খুশি খুশি সেখানে যাবার পর বুঝতে পারলাম বহু বড় এক ভুল আমি করে ফেলেছি। এ জীবন প্রতারণাময়। এখানে কেউ আপন নয়। তলপেট বরাবর ইঞ্জেকশন মেরে ডাক্তার আমার কোন এক অঙ্গহানী করে দিলেন।

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২

লেখা-খেলা

 





মাঝে মাঝে লোকজন আমাকে লেখার রসবোধ বাড়ানোর টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন করে। শুরুতেই আমি বলে নিই-আমি কখনওই লেখক মনে করি না নিজেকে।কারণ ব্লগ বা ফেবুতে লিখলেই কেউ লেখক হয়ে যাবে এটা মনে করা আর ইমরান এইচ সরকারের বাড়ির সকলে হাজি তাই সেও হাজি হয়ে যাবে; এমনটা মনে করা একই প্রজাতির নখরামি। তবু মানুষ নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে এবং উপদেশ দিতে পছন্দ করে। আমিও ব্যতিক্রম নই। তাই আমার উপদেশ শরীফ আজ রিলিজ দিলাম। 

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

কে বা কাক, কে বা ময়ূর?

 


কাক যতই ময়ূর হতে চাইয়া পাছায় সুপার গ্লু দিয়ে পালক চিপকাক, সে কাকই থাকে। ময়ূর হয় না। নিখিল বাঙ্গু দেশের শাহবাগী, চেতনবাদী, টিপবাদী, কূৎসিত ভুটকি ফ্যমিনিস্টবাদীরা সবসময়েই দেখি ময়ূর হইবার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। যেহেতু এরা দেখসে দুঃখ-কষ্ট পাইলে বৈদিশিরা মোমবাত্তি ধরায়া চুপচাপ বসে থাকে, এদের মনে হইসে আমাদেরও অতি অবশ্যই মোমবাত্তি জ্বালাইতে হইবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ কারবার এইটা!

শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০২২

আমি আজকাল ভালো আছি...





গত এক সপ্তাহ ধরে মারাত্মক কাজের চাপ। মাথার ঘায়, কুত্তা পাগল অবস্থা! কিন্তু আমার কিছুই করতে মন চায় না। বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে জীবনে এরকম মৌসুমেরা আসে। মন চায় কিছুই না করে ঝিম মেরে বসে থাকি। আমার পায়ে শেকড় গজিয়ে যাক। মাথায় ডাল-পাতা। আমি বসে থাকি। ঝিম ধরে থাকি। আপাতত আমার ঝিম মারা মৌসুম চলছে। কোন কোনদিন অফিস পর্যন্ত যাই, এরপর আমার চিলেকোঠা অফিসের সামনে থাকা কাঁঠাল গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে চিন্তা-ভাবনা করি অফিসে ঢুকাটা ঠিক হবে কিনা।

বোশেখের আনন্দ





এই ভারতবর্ষে পহেলা বৈশাখ কোনকালেই আনন্দময় কোন উৎসবের কোন দিন ছিল না। জমিদাররা এই দিনে পুণ্যাহ করতেন। পুণ্যাহ হচ্ছে জমিদারের খাজনা আদায়ের উৎসব। প্রজাদের পেটে পাড়া দিয়ে খাজনা আদায় করা হবে সেটা বোধ করি প্রজাদের জন্য সুখকর কিছু না। 

ওদিকে ব্যবসায়ীরা টান দিয়ে বের করতেন হালখাতা। সেখানেও সাধারণদের ভূমিকা হল বকেয়া টাকাপয়সা দেয়া। এটাও সাধারণ জনগণের জন্য আনন্দদায়ক কিছু না।

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়




আমাদের জীবদ্দশায় আমরা যে কটা মিথ্যা শিখেছি তার মধ্যে অন্যতম হলো- "ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়।"



মুখের ভাষা বা মাতৃভাষা কেউ কেড়ে নিতে চায়নি। এটা নির্জ্জলা মিথ্যা! 


সে সময় পাকিস্তান সরকার বদলাতে চেয়েছিলো রাষ্ট্রভাষা। 


রাষ্ট্রভাষা আর মুখের প্রচলিত ভাষা এক জিনিস নয়।