মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

কে বা কাক, কে বা ময়ূর?

 


কাক যতই ময়ূর হতে চাইয়া পাছায় সুপার গ্লু দিয়ে পালক চিপকাক, সে কাকই থাকে। ময়ূর হয় না। নিখিল বাঙ্গু দেশের শাহবাগী, চেতনবাদী, টিপবাদী, কূৎসিত ভুটকি ফ্যমিনিস্টবাদীরা সবসময়েই দেখি ময়ূর হইবার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। যেহেতু এরা দেখসে দুঃখ-কষ্ট পাইলে বৈদিশিরা মোমবাত্তি ধরায়া চুপচাপ বসে থাকে, এদের মনে হইসে আমাদেরও অতি অবশ্যই মোমবাত্তি জ্বালাইতে হইবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ কারবার এইটা!

মানে কোন লজিক নাই, কাম নাই, হুদাই একটা কাজ করতে হবে। কারণ বৈদিশিরা করসে দেখসি টিভিতে। আমরা করলে আমরাও ইস্মার্ট আর খুউল ডুড হইতে পারব। এই ময়ূর হইতে চাইয়াই এদের কতিপয় ফেমিনিস্টদের দেখা যায় থলথলে চর্বিওয়ালা কুৎসিত হাত নিয়া স্লিভলেস পইরা নিজের সৌন্দর্য দেখাইতে চায়। কালা কুচকুচা বগল বের করে ঘুরে বেড়ায় আর ভাবে খুব ময়ূর হইচি মাইরি। একদম কলিকাতার নাইকা লাগচে! বাংগুদেশের ৯৮% ফেমিনিস্ট, টিপওয়ালি, শাহবাগী পুরুষ-নারী মাত্রই অতি মাত্রায় কুৎসিত৷ এদের না আছে কোনরকম ফ্যাশন সেন্স, না স্বকীয়তা, আর না আছে ঘটে দুই ছটাক ঘিলু। অধিকাংশের ঠিকঠাক পড়াশোনাও নাই। কলাবিজ্ঞান পইড়া এরা বিজ্ঞানী একেকজন।

বৈদিশরা যা করে তা ই কপি পেস্ট করলে আমারেও তাদের মত লাগবে ভাইবা যা খুশি করতে থাকে। করতে গিয়া যে এদেরকে ঠিক কতটা কুৎসিত দেখায় সেটা হয়ত এদের কুৎসিত সেন্স দিয়া এরা ধরতে পারে না। হিন্দিতে একটা কথা আছে। না ঘার কা, না ঘাটকা। এদের অবস্থা হইসে সেই রকম। এরা যেসব কিম্ভুত কর্মকান্ড করে সেসব না এদের ধর্মে আছে, না সংস্কৃতিতে, না বিজ্ঞানে আর না কমন সেন্সে। কিন্তু এরা সেসব করবে; কেন করবে তা নিজেরাও জানে না। তবু করবে।

রিসেন্ট এরা মোমাবত্তি জ্বালায়ে অনেক দুঃখ করসে শহীদ মিনারে। যারা অগ্নি পুজারক, এদের লজিক আছে এইভাবে দুঃখ করার। এটা হয়ত এদের ধর্মে আছে। তোরা মামা কেন করিস? যে আগুন এতগুলো প্রাণ কেড়ে নিল সেই আগুন জ্বালিয়ে তোরা দুঃখ করিস? মোমবাতি কেনার টাকা আর তোদের সেখানে গিয়ে অনুষ্ঠান করার টাকা দিয়া কিছু স্যালাইন পানি কিন্না দেয়া যাইতো না? শহীদ মিনারের উল্টো পাশে চেগায়ে যে বুড়া ব্যাটা ল্যাংটা হয়ে ঘুমায়, তারে একটা বনরুটি কিনা দেয়া যাইত না? না তোরা আগুন জ্বালাবি, কুরবানি দিলে তোরা বলবি গরু না কিন্না টাকা গরিবরে দিতে। আর সারাটা বছর মোমবাত্তি বেলুন-পটকা-আতশবাজি দিয়া করবি নাটক। কিএক্টবস্থা!

ঐদিকে এরা যাদের নিয়া লিস্টি ফিস্টি করে, দেশে ঘৃণা ছড়াইতেসের তকমা দিয়া রিপোর্ট-ফিপোর্ট করে সেই হুজুরগুলা দেখি সীতাকুন্ডে গিয়া উড়ে যাওয়া ঠ্যাং,হাত পা নিয়া দৌড়াদৌড়ি করতেসে। লাশ খুইজা খুইজা বাইর কইরা আল্লাহু আকবার বইলা যত্ন করে প্যাকেটে ভরতেসে। 

জানি না বাবা কে কাক, কে ময়ূর; বুঝি শুধু শেষ জামানায় সত্যবাদীদের মিত্থুক বলা হবে, আর মিত্থুকরা বুক চিতাইয়া ঘুরে বেড়াবে। শহরজুড়ে প্রচুর কুৎসিত বুক দেখতে পাই। আশা একটাই এইসবের বিচার আকাশে হবে, আর সেই বিচার কোন মানুষের হাতে না....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন