শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

হাজার বছরের ঐতিহ্য



ঠাডা পড়া রোদে উন্দুর-বান্দর-পেঁচা-বাঘ-ভল্লুক-তেলাপোকা জাতীয় কিছু বিকট চেহারার বস্তু নিয়ে হায়দার বাবার মতো হুদাই জামাতের সাথে সবাই মিলে হাটাহাটি করাটা নাকি আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। আমাদের দাদা-নানারা নাকি এগুলা করেই নাকি এই নিখিল বাংলার বুকে অনেকগুলা মঙ্গল আনসেন।
বুঝলাম হাজার বছর ধরে আমরা মুর্খ ছিলাম। আমাদের বুঝতে হবে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা আমাদের মতো খুব একটা ভালো বিজ্ঞান করতেন না। আমাদের মতো তাদের হাতে এত এত কলা বিভাগ পাশ দেয়া বিজ্ঞানি তাদের ছিল না। তাই হয়তো এহেন-- অবৈজ্ঞানিক, অযৌক্তিক এবং মুর্খতার পেছনে যথেষ্ঠ অর্থ, শ্রম এবং মেধা তারা খরচ করতেন। কিন্তু আমরা এখন কেন এর পেছনের বিজ্ঞান টা ঠিক বুঝে উঠতে পারতেসি না সেটাই আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারতেসি না।
যাই হোক হাজার বছর ধরে বাঙালরা কৃষিকাজ করসেন, জাইংগার চেয়েও অধিক ছোট নেংটি পরে উদাস নয়নে নিম গাছের ডাল নিয়ে সকালবেলা দাঁত ডলেছেন, টাট্টি গাছে বসে প্রকৃতির সাথে একাকার হয়ে গিয়ে হাগু করে গেছেন দিনের পর দিন। পাইলসের রোগীরা বিনা চিকিৎসায়, অবহেলাতেই মারা গেছেন নীরবে।
কিছুদিন পর কি তাহলে হাজার বছরের দোহাই দিয়ে এহেন কম্মগুলোও আমাদের করা লাগবে? তওবা তওবা...আমাদের এভাবে মধ্যযুগীয় করে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়ার পেছনে জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা অবশ্যই অবিলম্বে খতিয়ে দেখা উচিত।
এমন প্রজন্মই কী চেয়েছিলাম আমরা? অনেক বিজ্ঞান করা, সকল বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানের মধ্যমণি, বিজ্ঞানের জাদুকর আমাদের সকলের প্রিয় শ্রদ্ধেয় জাফর স্যারেরা এখনও কেন চুপটি মেরে বসে আছেন তা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। অন্তত ৭১ এর মতো খাটের তলা সেক্টরে বসেও একটা ডাক অন্তত তারা দিতে পারতেন। এখনও যে তাদের মতো মহানায়কেরা খাটের তলা থেকে কেনো বের হচ্ছেন না, কে জানে। স্ট্রেইঞ্জ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন