শুক্রবার, ৫ মে, ২০১৭

মধ্যযুগীয় শিক্ষা


দৃশ্য-১:
জুমু'আ শেষে আড্ডারত কয়েকটি যুবক।বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। কথায় কথায় মুখ দিয়ে আংরেজি বুলি আওড়াচ্ছে একজন-- It was fu**ing.....বলতে বলতেই হাতে থাকা সবুজ মাউন্টেন ডিউয়ের অবশিষ্ট তরলটুকু গলায় পাচার করে দিয়ে বোতলটা ছুঁড়ে ফেললো রাস্তায়। টকাৎ....
দৃশ্য-২:
জীবনে কোনদিন পরিবর্তন না করা অতি ময়লা শাড়ি আর মুখ-চুল ভর্তি ফাউন্ডেশন অথবা হেয়ার কালারের বদলে কালি-ময়লার আস্তরন আর কাঁধে সাদা প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন এক বৃদ্ধা। উপুড় হয়ে অতি সাবধানে তুলে নিলেন বোতলটা, যেন তার অতি আদরের কেউ, যত্নের কেউ। ছিপিটাও খুঁজে বের করলেন কোথা থেকে যেন।
অতি অদ্ভুত এক পৃথিবীতে আমরা বাস করি। শিক্ষিত, ভদ্দরনকেরা রাস্তা-ঘাট, নদী-নালা, পাহাড়-সমুদ্র সব, সব কিছু নোংরা করে চলে তুমুল প্রতিযোগিতায়। আর তা পরিষ্কার করে এ পৃথিবীকে মোটামুটি বসবাসের উপযোগী করে রাখে অশিক্ষিত, ছোটলোকেরা। অদ্ভুত!
যে শিক্ষা অন্ততপক্ষে রাস্তায় ময়লা না ফেলার মতো অতি ক্ষুদ্র নৈতিকতাটাও জাগাতে পারে না, সে শিক্ষার উদ্দেশ্যটা আসলে কী?
____
ফুটনোট: প্রায় ১৪০০ বছর আগে মুহাম্মাদ(সা.) নামক একজন তৎকালিন সমাজের সার্টিফিকেটহীন অশিক্ষিত ব্যক্তি রাস্তা ময়লা না করার শিক্ষা দিয়ে গেছেন, এমনকি রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ পর্যন্ত দিয়ে গেছেন।
(এখন তো আবার আপনারা মধ্যযুগীয় শিক্ষা নেবেন না। দেশ পিছিয়ে যাবে। তবুও জানিয়ে রাখলাম আরকি। মাইন্ড কইরেন না)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন