মানুষের অনেকগুলো চমৎকার ক্ষমতার মাঝে একটি হলো-- সে পরম অভিযোজন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রাণী।
আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি এমন সময় এসেছে যে-- যা ছাড়া জীবনটাকে কল্পনাও করতে পারছি না, তা হারিয়ে যাবার পর একটা বড় ধাক্কার মতো খেয়েছি।
প্রথম ধাক্কাটাই তীব্র। এরপর ধীরে ধীরে কষ্ট-যন্ত্রণা, অপ্রাপ্তি-অশান্তি, শঙ্কা-অস্থিরতায় কিছুটা সময় পার করেছি।
প্রথম ধাক্কাটাই তীব্র। এরপর ধীরে ধীরে কষ্ট-যন্ত্রণা, অপ্রাপ্তি-অশান্তি, শঙ্কা-অস্থিরতায় কিছুটা সময় পার করেছি।
কিন্তু, আরও কিছু সময় পর?
দিব্যি খাওয়া, ঘুম, হাসাহাসি। ভালোবাসার ছড়াছড়ি। সবখানে, সর্বত্র। কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। দুঃখ নয়, গ্লানি হয়। আনন্দের সময়টাও নয়। যে দুনিয়া নিজেই অস্থায়ী। তার দুঃখ-কষ্ট-আনন্দ স্থায়ী হয় কি করে?
নিজের পরম ভালোবাসার সন্তানকে নিজ হাতে কবরে রেখে এসে এক পিতাকে জীবিকার তালাশ করতে আমি নিজে দেখেছি। পেট চালাতেই হয়। পৃথিবীকে চলতেই হয়। এটাই একমাত্র সূত্র এ পৃথিবীর। যে কষ্টটাকে আমরা সহ্যের অতিরিক্ত-কল্পনাতীত ভাবি; যার কারণে এই আর্দ্র বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে যায় প্রতিনিয়ত-- স্রেফ সেটুকু পেলেই তা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার প্রেরণাটা পেত এ জগতের লক্ষকোটি মানুষ।
প্রচন্ড যন্ত্রণার সময়গুলোতে কুরআন টা খুলি, আমার সম্পর্কে সব স-অ-ব কিছু জানা আমার রব জানান দিচ্ছেন--
"আমি কাউকে তার সাধ্যের অতীত কষ্ট দেই না।"
তাহলে এই অকারণ হতাশারা কারণ কী? ব্যাথার পরীক্ষাটা যার তৈরি, তা বহন করার ক্ষমতাও যে তারই তৈরি!
1 মন্তব্যসমূহ
মাশাআল্লাহ, সুন্দর লেখা। বারাকাল্লাহু ফি
উত্তরমুছুনচালিয়ে যান