এ শহরে কিছু কাক রয়েছে। ক্ষুধার্ত কাক। মন খারাপ কাক। আনমনা বিচ্ছিরি কাক।
মাগরিব-আলোতে রাস্তার নোংরা চায়ের দোকানগুলোতে কখনও সখনও এরা ভীড় জমায়। কড়কড়ে কন্ডেসড মিল্ক আর চিনির সাগরে ভেসে যাওয়া বিচ্ছিরি চায়ের কাপে জমতে থাকে- বিষন্নতা।
পৌষের শীতে ক্লান্ত রিকশায় চেপে ঠোঁটে রুদ্রে লাইন ভাজে-- "আমি দুঃখগুলোকে টাকার মত একটা একটা করে গুণতে চাই।"
পৌষের শীতে ক্লান্ত রিকশায় চেপে ঠোঁটে রুদ্রে লাইন ভাজে-- "আমি দুঃখগুলোকে টাকার মত একটা একটা করে গুণতে চাই।"
সিগন্যাল আটকে দাঁড়ানো ট্রাফিকে শিশুরা ব্যস্ত পায়ে দৌড়াতে থাকে। গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা, বেলী। এই শহরের একটা অসাংবিধানিক নিয়ম আছে- শিশুরাই কেবল ফুল বিক্রি করতে পারবে, অন্য কেউ নয়। কেন এই নিয়ম! কে জানে?
কাকেদের ফুল কিনতে নেই। তবু এরা কেনে। ইচ্ছাকৃত ভুল হয়তো। ক্লান্ত রিকশাটা চলতে থাকে। আবারও।
শহীদ মিনারের সামনের রাস্তায় স্ট্রিট ল্যাম্পগুলো আজ ভীষণ ব্যস্ত!
এই পৌষ-সন্ধ্যায় একটা রিকশার হুডের নিচে বসন্ত নেমে গেছে। আর্দ্র-রঙিন গ্লাডিওলাসগুলো জ্বলজ্বল করছে। খুব!
এই পৌষ-সন্ধ্যায় একটা রিকশার হুডের নিচে বসন্ত নেমে গেছে। আর্দ্র-রঙিন গ্লাডিওলাসগুলো জ্বলজ্বল করছে। খুব!
কাকেদের ঠিক সন্ধে নামার আগে বাড়ি ফিরতে হয়। এটাও নিয়ম। এই শহরেরই নিয়ম।
থাকুক না নিয়মেরা, নিয়মের মত। এদের তো সবসময় প্রশ্রয় দেবার কিছু নেই। গ্লাডিওলাসটাকে খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরে বিচ্ছিরি কাকটা। আর গ্লাডিওলাসটার নিঃশ্বাস আটকে আসে......ক্রমশঃ...ভীষণ...খুব...
0 মন্তব্যসমূহ