"চাহিবা মাত্রই ইহার বাহককে পাঁচশ টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে"। টাকার গায়ে থাকা এই মহান বাণীটা দেখে একটা বয়স পর্যন্ত ভাবতাম এ আবার ক্যামন কথা? চাওয়া মাত্রই আমার টাকা আমি যে কাউরে দাঁত কেলায়ে-"নেন দাদা, নেন দাদা" করে দিয়া দিব? তাহলে টাকা জিনিসটা এত আদর-যত্নে পেলেপুষে মানুষ করে লাভ কী? আজব দুনিয়া!
'বাহক' শব্দটার ব্যাখ্যা বা তাৎপর্য সেসময় বুঝে উঠিনি, কিংবা এর রচয়িতারা এখানে যথাযথ শব্দের ব্যবহার করেননি।
সে যাই হোক, আমার মূল আলাপ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাহিত্যমান নিয়ে নয়। আমার আলাপ মানবচরিত্র নিয়ে। চাহিবামাত্র টাকা জিনিসটা আমরা যে কাউকে দিয়ে দিতে বাধ্য হলে পাঁচশ টাকা আর রাস্তায় পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেটের মাঝে যেমন কোনো পার্থক্য থাকতো না, তেমনি আমাদের এই অদ্ভুত সময়টাতে না চাইতেই যে ভালোবাসা পাওয়া যায় তার প্রতি আমাদের কারও কোনো আগ্রহ নেই। যে ভালোবাসা জয় করতে হয়, পাবার জন্য চেষ্টা করতে হয়; তার প্রতি মানুষের অগাধ প্রেম, অগাধ আনুগত্য।
না চাইতেই কাউকে সাহায্য করবেন? চোখ-ভ্রু কুঁচকে ভাববে এর ঘটনা কী? গায়ে পড়ে সাহায্য করে কেন? নিশ্চই উদ্দেশ্য খারাপ।
জীবন ততদিন সরল ছিল, যতদিন বেঁচে থাকা আর একবেলা আহারের জন্য লড়াই করতে হত। জীবন যত সহজ, কুটিলতা তত প্রবল। ভালোবাসা যত সহজলভ্য, অবহেলা তত প্রকান্ড....
0 মন্তব্যসমূহ