জন্মোৎসব কখনো আমাকে আনন্দিত করতে পারেনা। আমার প্রতিটি জন্মদিনে আমি হিসেবের খাতা নিয়ে বসি। মানুষ যদি গড়ে ৫০-৬০ বছরে বাঁচে,তাহলে আমার হাতে আর ত্রিশ কি বত্রিশ বছর সময় আছে। তবুও সেটা অনিশ্চিত।
আমার প্রতিটা জন্মদিনে আমার মনে হয়েছে সময় শেষ হয়ে আসছে। বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি,অতি দ্রুত হয়তো চুলগুলো পেকে যাবে,হয়তো বিছানায় পড়ে যাব,এক গ্লাস পানির জন্যও হাহাকার করে ভিক্ষে চাইতে হবে অন্যের কাছে।
শৈশব থেকেই আমি বেশ মানবদরদী। মানবতার কল্যাণে আমি একবার এক মহতী পদক্ষেপ হাতে নিলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম আমার নিজের জন্য একটি পার্সোনাল পুকুর খনন করা হবে। সে পুকুরের পানি দিয়েই আমার দৈনন্দিন পানির চাহিদা মেটানো হবে।
বাড়ি হতে খানিক দূরেই এক বিশাল পুকুর(বাবার কর্মস্থানের কারণে সেসময় ঢাকার বাইরে থাকতাম)। তার এক পাশের ঝাঁড়ের নিচে মাছ কাটার বটি এনে এক বিঘত পরিমাণ গর্ত করে ফেললাম।
প্রিয় রফিক,
আজ কেন যেন হঠাৎ করেই তোর সাথে আমার দেখা হওয়া শেষ দিনটার কথা মনে পড়ছে রে খুব। তুই সাদা বিছানাটায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিস,তোর পা দুটো ফুলে ঢোল। ভেতরে টলটল করছে পানি জাতীয় তরল। হাত দিয়ে ছুয়ে দিতেই সেটা বেলুনের মতো ডেবে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে আমাকে একবার বললি, ”সৌরভ ছুরি আন তো! একটু কেটে দেখনা কি হইছে ওইখানে? এরকম করে কেন ? প্লিজ! এর ঠিক কয়েক মুহূর্ত পরেই তুই আবার আমাকে চিনতে পারছিস না। এলোমেলো,শূণ্য চোখে দেখছিস এদিক-ওদিক। হাঁপাচ্ছিলি খুব …
ক্লাস টু তে পড়ার সময় আমরা সবাই-ই কবি শামসুর রাহমানের একটা কবিতা পড়েছিলাম, ” শহর শহর ঢাকা শহর আজব শহর ঢাকাএই শহরেই আছে অনেক গলি আঁকাবাঁকা”…….
আরও পড়ুনসেদিন একটি ফটোগ্রাফি কম্পিটিশনে হঠাৎই একটা ছবিতে চোখ আটকে যায় আমার। তেমন কোন শিল্পগুণ সমৃদ্ধ ছবি নয়। টিপিক্যাল সম্রাট শাহজাহান সাহেবের তাজমহলের ছবি। ছবির নিচে ক্যাপশন ”Symbol Of Love”.
এরপর থেকেই তাজমহল সম্পর্কিত কিছু বিষয় আমার মাথায় ঘুরঘুর করছে। যার ফলাফল এই লেখাটি।ছোটবেলা থেকেই তাজমহল ব্যপারটাকে আমরা ভালবাসার মূর্ত প্রতীক হিসেবে জেনে এসেছি। সেই সাথে সাথে জেনেছি সম্রাট শাহজাহানকে একজন মহান প্রেমিক হিসেবে। যিনি নিজ স্ত্রীর জন্য তার ভালোবাসার পদচিহ্ন রেখে গেছেন এ পৃথিবীর বুকে।…
.....বাসে যাচ্ছি,পাশের সিটে দু'জন প্রায় আমারই বয়সী ছেলে বসা। একজন কাদছে আর মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছে তার পাশের ছেলেটিকে।ব্যপার বোঝার জন্য কান খাড়া করে গভীর মনযোগ দিয়ে কথা বোঝার চেষ্টা চালালাম।রহস্য উদঘাটন হল কিছুক্ষনের মধ্যেই। তার কোন এক বন্ধু আত্মহত্যা করেছে কোন এক মেয়ের কারনে। কিছুক্ষনের মাঝে আরও জানা গেল মেয়ের চরিত্রও নাকি বিশেষ সুবিধার না! ঝামেলা আছে চরিত্রে। যাই হোক, সেদিনের পর থেকে আমার মাথায় বেশ কিছু ব্যপার ছুটোছুটি করছে।মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলার সুযোগ …
আরও পড়ুন
Social Plugin