জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটা পড়ছিলাম সেদিন। গল্পটা একটু আলাপ করি সংক্ষেপে-
উপন্যাসটি শুরু হয় তৎকালীন ভিক্টোরিয়া পার্কে সিপাহী বিদ্রোহের নির্মম স্মৃতিবিজড়িত বর্ণনা দিয়ে। দেখা যায়, সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট পরিহিত খালি পায়ে একটি ছেলে হেঁটে যাচ্ছে; মুনিম! সাথে দেখা যায় আরও অনেক শিক্ষার্থী। ভাষা শহীদদের মৃত্যুকে সার্থক করার জন্য আরও একবার আন্দোলন শুরু হল বাংলা মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা করার দাবিতে।
শবে বরাত আসলেই মুসলমানেরা রমজানের আগমন সংবাদ পেয়ে যেত। রমজানের চাঁদ দেখার জন্য আজকের মতো কোনো কমিটি ছিল না। ঢাকার লোকেরা নওয়াব বাড়ির ঘোষণা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতো।
আরও পড়ুনপ্রতিটা পুরুষ মানুষের জীবনে একটা গোপন দু:খ থাকে। আমার জীবনে এমন দু:খ নেমে এসেছিলো কোন এক শুক্রবার দুপুরে। আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। নেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করায় আম্মা হাসি হাসি মুখে বললেন টিকা খাওয়াবে। হলুদ এক প্রকার ক্যাপসুল ভিটামিন খাওয়ানো হত সে সময়। আমরা ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সে ক্যাপসুল গিলতাম। আমি খুশি খুশি সেখানে যাবার পর বুঝতে পারলাম বহু বড় এক ভুল আমি করে ফেলেছি। এ জীবন প্রতারণাময়। এখানে কেউ আপন নয়। তলপেট বরাবর ইঞ্জেকশন মেরে ডাক্তার আমার কোন এক অঙ্গহানী করে দ…
আরও পড়ুনমাঝে মাঝে লোকজন আমাকে লেখার রসবোধ বাড়ানোর টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন করে। শুরুতেই আমি বলে নিই-আমি কখনওই লেখক মনে করি না নিজেকে।কারণ ব্লগ বা ফেবুতে লিখলেই কেউ লেখক হয়ে যাবে এটা মনে করা আর ইমরান এইচ সরকারের বাড়ির সকলে হাজি তাই সেও হাজি হয়ে যাবে; এমনটা মনে করা একই প্রজাতির নখরামি। তবু মানুষ নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে এবং উপদেশ দিতে পছন্দ করে। আমিও ব্যতিক্রম নই। তাই আমার উপদেশ শরীফ আজ রিলিজ দিলাম।
আরও পড়ুনকাক যতই ময়ূর হতে চাইয়া পাছায় সুপার গ্লু দিয়ে পালক চিপকাক, সে কাকই থাকে। ময়ূর হয় না। নিখিল বাঙ্গু দেশের শাহবাগী, চেতনবাদী, টিপবাদী, কূৎসিত ভুটকি ফ্যমিনিস্টবাদীরা সবসময়েই দেখি ময়ূর হইবার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। যেহেতু এরা দেখসে দুঃখ-কষ্ট পাইলে বৈদিশিরা মোমবাত্তি ধরায়া চুপচাপ বসে থাকে, এদের মনে হইসে আমাদেরও অতি অবশ্যই মোমবাত্তি জ্বালাইতে হইবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ কারবার এইটা!
আরও পড়ুনগত এক সপ্তাহ ধরে মারাত্মক কাজের চাপ। মাথার ঘায়, কুত্তা পাগল অবস্থা! কিন্তু আমার কিছুই করতে মন চায় না। বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে জীবনে এরকম মৌসুমেরা আসে। মন চায় কিছুই না করে ঝিম মেরে বসে থাকি। আমার পায়ে শেকড় গজিয়ে যাক। মাথায় ডাল-পাতা। আমি বসে থাকি। ঝিম ধরে থাকি।
আরও পড়ুনএই ভারতবর্ষে পহেলা বৈশাখ কোনকালেই আনন্দময় কোন উৎসবের কোন দিন ছিল না। জমিদাররা এই দিনে পুণ্যাহ করতেন। পুণ্যাহ হচ্ছে জমিদারের খাজনা আদায়ের উৎসব। প্রজাদের পেটে পাড়া দিয়ে খাজনা আদায় করা হবে সেটা বোধ করি প্রজাদের জন্য সুখকর কিছু না।
আরও পড়ুন
Social Plugin